স্রষ্টার কান্না
seen 1
বিস্তৃন্ন বন। সেখানে একটা বড় লতানো গাছের তলে একজন পোয়াতি মা দাঁড়ানো। লতাগুলো বাতাসে দুলে দুলে যেন তাকে আদর করে গান শুনিয়ে যাচ্ছে এমন একটা দৃশ্য। ওর হাত পেটের উপর। বাতাসের রিদমে আদর করছে।
seen 2
তারঠিক পর একটু পাশেই দেখি একজন শিল্পি ভাস্কর্য বানাচ্ছেন। অতি যত্ন৷ অতি মনোযোগ। তার মুখ,হাত আর শরীরের নিখুঁত কাজগুলো দেখব যাতে মনোযোগ আর ভালোবাসা দুটোই বোঝা যায়। এক্ট্রিম ক্লোজে আমরা ভাস্কর্যের মুখ দেখি। সেখান থেকে দৃশ্য বদলাবে বিস্তৃন্ন চরে।
seen 3
আস্তে আস্তে দেখন ধুধু চরের একটা ছবি। নৌকায় বসে একজন ভাস্কর্য শিল্পি ভাস্কর্যের কাজ করছে এখানেও। এবারে
নিখুত কিছু কাজের দৃশ্য দেখব ভাস্কর্যের নিখুঁত ব্যপারগুলো দেখাব।
Seen 4
আমরা ভাস্কর্য থেকে ধীরে ধীরে নদীতে একটা নৌকা ভেসে যেতে দেখি তারপর আবার ফিরে আসি... এবারে এ জায়গাতে দেখি পায়াতি মা নৌকোর উপর বসে বসে কাথা সেলাই করছে। পাশে বেশ কিছু পশুপাখি দেখব। তারা আনন্দে তাদের মত খেলছে। সামনে একটা ছোট বিড়ালের বাচ্চা দেখে পোয়াতি মা কোলে নিয়ে আদর করে। এই বিড়াল আদর করার ছবিটি আমরা একটা আয়নার ভিতর দেখি। সেই আয়নাটা ডিজলভ হবে...
seen 5
ডিজলভ হয়ে ওই আয়না আসবে একটা জঙ্গলে। আয়নায় দেখব পোয়াতি মা বিড়ালটিকে আদর করছে। পাশে বিদ্ধস্ত বাড়ি,বেশ পুরাতন। লোহার জং ধরা দোলনা দুলছে। এইখান থেকে আমরা দূরে শিল্পিকে ভাস্কর্য বানাতে দেখি। তারপর আবার ফোকাস পাই ওই ইজেলের পাশে সাজানো রংতুলিতে।
রং তুলি থেকে আমরা যাব রঙিন বেলুনে....
seen 6
রঙিন বেলুন উড়ছে। রিকশা চলছে সাথে। এবার রিকশার সামনে আসি। দূর থেকে দেখা যায় একজন পোয়াতি মা হাতে অনেকগুলো বেলুন নিয়ে রাতের বেলা রিকশা করে ঘুরছে। এবার পেছন থেকে আবার দেখি।রিক্সাটা ক্রমাগত দূরে যাচ্ছে ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে এবং আস্তে আস্তে একটা একটা করে বেলুন আকাশে উড়ে যাচ্ছে।
seen 7
হুট করে আলট্রাসোনোগ্রাফের ছবি দেখি। তারপর ব্লাকবার দিয়ে দুই সেকেন্ড পজ। এরপর দেখি পোয়াতি মা বাথরুমে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছে।
seen 7
আবারও ব্লাকবার। দুই সেকেন্ড পজ। ধাপ ধুপ আমরা ভাস্কর্য ভাঙার বিভিন্ন নিউজের কিছু ছবি দেখাব।
seen 7
আবারও বিস্তৃন্ন চর। রক্তাক্ত মা পড়ে আছে একপাশে আরেক পাশে পরে আছে ভাস্কর্য। নদীর পানি কাপছে....